আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইতিহাস গড়লেন টাইগার বাহিনী

স্বপ্নও বোধ হয় এর চেয়ে সুন্দর হয় না। সাকিব আল হাসান আজ যেভাবে ব্যাটিং করেছেন সেটার স্বপ্ন দেখেন ব্যাটসম্যানরা। লিটন দাসে ব্যাটিংটাকে মহাকাব্য বললেও কম বলা হবে। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বপ্নের মতো জয় ছিনিয়ে আনল বাংলাদেশ। টাইগাররা এই ম্যাচে জিতবে এটা ভেবেছিল অনেকে। তবে এভাবে জিততে সেটা বোধ হয় কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২১ রান ৭ উইকেট ও ৫১ বল হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ। এই জয়ে শেষ চারের আশাটা ভালোভাবেই জিইয়ে রাখল টাইগাররা।

৩২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা বেশ ধীরগতিতেই করেছিলেন তামিম ইকবাল। আসরের গত তিন ম্যাচে বড় স্কোর করতে পারেননি টাইগার ওপেনার। এই কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বেশ সাবধানী এই ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে সৌম্য সরকার খেলছেন তার মতো করেই। এই দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুর্দান্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। ভালো শুরুটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। নবম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে ‘প্রাণপাখি’ সঁপে দেন সৌম্য সরকার। ২৩ বলে ২৯ রান করেন এই টাইগার ওপেনার। বাংলাদেশের রান তখন ৫২।

এরপর দারুণ খেলছিলেন সাকিব ও তামিম। এই দুজনের ব্যাটে ক্যারিবীয় বোলারদের বেশ চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। এই জুটি থেকে আসে ৬৯ রান। ব্যক্তিগত রানে রানে থমানের অসাধারণ এক থ্রোয়ে রান আউটের শিকার হন তামিম। এর পরের ওভারেই আউট হয়ে ফিরে আসেন মুশফিকুর রহিম। থমাসের বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন মুশি। করেন মাত্র ১ রান।

লিটন দাস যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৩৩। বাকিটা ইতিহাস। ক্যারিবীয় বোলারদের হতাশায় ভুগিয়ে জুটিটাকে এগিয়ে নিয়ে যেত থাকেন তারা। শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে এনেই ক্ষান্ত হন তারা। সাকিব অপরাজিত থাকেন ৯৯ বলে ১২৪ রান করে। আর লিটন দাস খেলেন ৬৮ রানের অবিস্মরনীয় এক ইনিংস।

টনটনে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সা্জই হোপ ৯৬, নিকোলাস পুরান ৭৭ ও শিমরন হেটমেয়ার করেন ৫০ রান। বাংলাদেশের হয়ে আজ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সাকিব নিয়েছেন দুটি উইকেট।